হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস ও আবিষ্কার (পর্ব-১)
![]() |
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান |
মোঃ দোয়েল হোসেনঃ
আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব জন্মের ইতিহাসের মতই সুপ্রাচীন। আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথি প্রভৃতি চিকিৎসা পদ্ধতির বয়স তিন হাজার বৎসরেরও অধিক এবং সেগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। হোমিওপ্যাথির প্রবর্তন হয় অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক কালে, ১৭৯৬ খৃষ্টাব্দে।
আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে সদৃশনীতির বিধান অতি প্রাচীন। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে সাদৃশমতে চিকিৎসা ও বিপরীত মতে চিকিৎসা এই উভয় প্রকার চিকিৎসার সুস্পষ্ট বিধান ছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩৫০ অব্দে এরিস্টটল ঘোষণা করেছিলেন যে, রোগের সাদৃশ্য ও ঔষধের সাদৃশ্যেরর পরস্পর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফল হল পরস্পর বিনাশ, অর্থাৎ ঔষধের স্বভাবিক গুনাবলীর বিনাশ এবং রোগের নিরাময়। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার আদিগুরু হিপোক্রেটিস সাদৃশমতে চিকিৎসার নীতি সমর্থন করে গেছেন। তার মতে যে ঔষধ যে রোগ উৎপন্ন করতে পারে সেই রোগ আরোগ্যও করতে পারে। ইংরেজ চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ সিডেনহামের উপদেশ হল প্রকৃতিকে অনুসরণ করে প্রকৃতি নির্দিষ্ট পথে রোগ নিরাময় কর, নতুবা রোগ শক্তিকে সরাসরি কোন ঔষধ প্রয়োগে নির্মূল কর। কিন্তু এই নীতির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা নিরীক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কোন বিধিবদ্ধ চিকিৎসা পদ্ধতি গড়ে উঠে নাই, উপরন্তু বিজ্ঞানের নতুন নতুন তত্বে আবিষ্কারসমূহকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি অন্য সব চিকিৎসা পদ্ধতিকে ছাড়িয়ে বহু অগ্রসর হয়ছে। অথচ সদৃশনীতি বিস্মৃতির গহ্বরে হারিয়ে গেছে।
চলবে........
Comments
Post a Comment