Posts

Showing posts from February, 2018

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস ও আবিষ্কার (পর্ব-২)

Image
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান মোঃ দোয়েল হসেনঃ কিন্তু এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রথার সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে এর কিছু বিষময় ফলও অনতিবিলম্বে দেখা দিতে শুরু করে। আজ যে ঔষধ অমোঘ বলে ঘোষিত হল দুইদিন পর সেটাই মানুষের অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে পরিত্যক্ত হল। তাছাড়াও যে রোগের জন্য ঔষধ প্রয়োগ করা হল তা হয়ত সরাল, কিন্তু অন্য নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করল। যন্ত্রণাকাতর যে রোগী চিকিৎসককে বিশ্বাস করে নিজেকে তার হাতে সমর্পণ করেছে, সেই চিকিৎসকই সুযোগ গ্রহণ করে তার উপর বিভিন্ন ঔষধ ও তত্ত্বের  নিত্য নতুন পরীক্ষা শুরু করে দিলেন। রুগ্ন মানুষ ঔষধ ও তত্ত্ব পরীক্ষার গিনিপিগের মত ব্যবহার হতে লাগল। ফলে অনেক বিবেকবান লব্ধ প্রতিষ্ঠ খ্যাতিমান চিকিৎসক এলোপ্যাথিক চিকিৎসার প্রতি শ্রদ্ধা হারালেন। বিজ্ঞানাচার্য দার্শনিক ও চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ স্যামুয়েল হ্যানিমান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি প্রচলিত এই চিকিৎসা প্রথার ভয়াবহ পরিণামের কথা উপলব্ধি করে সখেদে ঘোষণা করলেন, "আমি এমন সব ঔষধ প্রয়োগ করছি যেগুলি সম্বন্ধে আমি খুবই কম জানি, এমন দেহে প্রয়োগ করছি যার অন্তর্নিহিত ক্রিয়াধারা সম্বন্ধে বলতে গেলেচিকিৎসার নামে তার বৃহত্ত

জীবন কে সুন্দর করতে কিছু টিপস।

Image
১. হাজার ব্যস্ততার মাঝে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় বের করে  অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন৷ ২. নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০  মিনিট কাটান ও নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷ ৩. ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল  পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। সারা দিনের করণীয় গুলো সম্পর্কে মনস্থির করুন। ৪. নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খাবেন আর প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাবেন। ৫. সবুজ চা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ৬. প্রতিদিন অন্তত ২/৩ জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। ৭. গান, গল্প, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা করে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয় করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন। ৮. সকালের নাস্তা রাজার মত, দুপুরের খাবার প্রজার মত এবং রাতের খাবার খাবেন ভিক্ষুকের মত। ৯. জীবন সব সময় সমান যায় না, তবুও ভাল কিছুর আশা-অপেক্ষা করতে শিখুন। ১০. অন্যকে ঘৃনা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন খুব ছোট, সকলকে ক্ষমা করে দিন সব কিছুর জন্য। ১১. কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না। সকল বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন। ১২. সব তর্কে জিততে হবে এমন নয়, তবে মতামত হিসাবে মেনে নিতে পারেন আবার নাও মেনে নিতে পারেন। হ্যা

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান ও তার ইসলাম গ্রহণ।

Image
[ সংগৃহীত ] আমি বৃথা জীবন ধারণ করিনি, সমস্ত কিছুই প্রমাণ করব, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব’। বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর সাইড অ্যাফেক্ট (পার্শপ্রতিক্রিয়া) দেখতে পান। এতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড অ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সূত্র আবিষ্কৃত হয়। পেরুভিয়ান কপি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। সুস্থ মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত। এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি। এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিৎসা

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস ও আবিষ্কার (পর্ব-১)

Image
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান মোঃ দোয়েল হোসেনঃ আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব জন্মের ইতিহাসের মতই সুপ্রাচীন। আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথি প্রভৃতি চিকিৎসা পদ্ধতির বয়স তিন হাজার বৎসরেরও অধিক এবং সেগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। হোমিওপ্যাথির প্রবর্তন হয় অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক কালে, ১৭৯৬ খৃষ্টাব্দে। আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে সদৃশনীতির বিধান অতি প্রাচীন। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে সাদৃশমতে চিকিৎসা ও বিপরীত মতে চিকিৎসা এই উভয় প্রকার চিকিৎসার সুস্পষ্ট বিধান ছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩৫০ অব্দে এরিস্টটল ঘোষণা করেছিলেন যে, রোগের সাদৃশ্য ও ঔষধের সাদৃশ্যেরর পরস্পর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফল হল পরস্পর বিনাশ, অর্থাৎ ঔষধের স্বভাবিক গুনাবলীর বিনাশ এবং রোগের নিরাময়। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার আদিগুরু হিপোক্রেটিস সাদৃশমতে চিকিৎসার নীতি সমর্থন করে গেছেন। তার মতে যে ঔষধ যে রোগ উৎপন্ন করতে পারে সেই রোগ আরোগ্যও করতে পারে। ইংরেজ চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ সিডেনহামের উপদেশ হল প্রকৃতিকে অনুসরণ করে প্রকৃতি নির্দিষ্ট পথে রোগ নিরাময় কর, নতুবা রোগ শক্তিকে সরাসরি কোন ঔষধ প্রয়োগে নির্মূল কর। কিন্তু এই নীতির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা ন

ফর্সা, উজ্জ্বল ত্বক পেতে যে খাবারগুলো খাবেন আপনি।

Image
ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল দেখানোর জন্য কত জনই না কত কিছু করে। কেউ দামী প্রসাধনী লাগান আবার কেউ নিয়মিত পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রকৃতিতেই আছে কিছু সমাধান। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কিছু খাবার খেয়েই বাড়ানো সম্ভব ত্বকের(Skin) উজ্জ্বলতা। সেই সঙ্গে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবেশ দূষন থেকেও রক্ষা করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এমন ৫টি প্রাকৃতিক খাবার সম্পর্কে। মিষ্টি আলুঃ  মিষ্টি আলুতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। ভিটামিন(Vitamins) এ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের লালচে ভাব কমে এবং উজ্জ্বল হলুদ আভা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও সতেজ। টুনা ও স্যামনঃ  সামুদ্রিক তেল যুক্ত টুনা ও স্যামন মাছে আছে বায়োটিন যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এগুলোতে আছে ভিটামিন বি যা ফ্যাটি এসিড তৈরি করে এবং এমিনো এসিড মেটাবোলাইজ করে। এই মাছ গুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায় সেই সঙ্গে কমে যায় ব্রণের উপদ্রব। বাদামঃ  বাদামে আছে প্রচুর ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রোটিন। এই তিনটি

যৌন সমস্যা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

Image
ডাঃ মোঃ সোহেল রানাঃ  হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি, ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা সময় প্রকট হয়ে দেখা দেয় তা হলো যৌন দুর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি এমন অনেকেই কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকায় এবং লোকলজ্জার করণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি প্রচলিত কুসংস্কারের কারণে সমাজে বাসাবাঁধে এ সমস্যা। যৌন দুর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারেন, তবে যৌন কাজে নারীর ভূমিকা অনেকখানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা দেয়। একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো কি কি। ১। যৌন ইচ্ছা বা সেক্

ছন্দে ছন্দে পর্যায় সারণীর বিভিন্ন মৌলের নাম

Image
দেখে নেই কিভাবে ছন্দ করে পড়ে নির্ভূলভাবে পর্যায় সারণী মনে রাখা যায়ঃ The Periodic Table Group: 1A- H,  Li,  Na,  K,  Rb,  Cs,  Fr হে লি না কে রুবি সাজাবে ফ্রান্সে Group: 2A- Be,  Mg,  Ca,  Sr,  Ba,  Ra বিধবা মায়ের ক্যাডার সন্তান বাদশাহ রহিম অথবা- বিরিয়ানি মোগলাই কাবাব সরিয়ে বাটিতে রাখ অথবা- বিধবা মহিলা কা সার বাসনে রাধে Group: 3A-  B,  Al,  Ga,  In,  Ti বরুন অল্পতেই গেল ইন্ডিয়া তে অথবা- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গেল ইন্ডিয়া ট্যুরে Group: 4A- C,  Si,  Ge,  Sn,  Pb কলিকাতা সিটিতে গেলে সোনা পাবে অথবা- কাদঁলে শার্ট গেন্জি স্যান্ডেল পাবে Group: 5A- N,  P,  As,  Sb(অ্যান্টিমনি),  Bi নাই প্রিয়া আজ সবই বিরহের অথবা- না ফিজ আছে আন্টির বাসায় অথবা- নাই পারুল আছে সাবিনা বিয়ান Group: 6A- O,  S,  Se,  Te,  Po অফিস শেষে সেলিনা টেলিফোন পেল অথবা- ও এস এস-ই তে পড়ে Group: 7A – (হ্যালোজেনX) – F,  Cl,  Br,  I,  At ফখরুলের ক্লোনটি বড়ই ইডি য়েট Group: 0 (নিষ্ক্রিয় ধাতু) – He,  Ne,  Ar,  Kr,  Xe(জেনন),  Rn হে না আর করিম যাবে রমনায় ধাতুর সক্রিয়তা সিরি

Jaundice: Learn about sings and remedies

Image
Jaundice is not a disease; it is only a symptom of a disease. The word jaundice comes from the French word Jaundice, which means Holudav. If jaundice increases bleeding levels in the blood (bilirubin density in the blood is below 1.2 mg/dL or 25 μmol/L. 3 mg/dL or more than 50 μmol/L, then jaundice is detected) and skin, white part of the eye and other mucus The membrane becomes yellow. The red blood cells of our blood break a time in a normal routine and produce bilirubin, which is then processed in the liver and then enters the papules with the help of biblical with the bile. Bilirubin from the intestine goes out from the body to the toilet. If there is any inconsistency with this long way of bilirubin, it does not occur naturally, but the level of Bilirubin increases in blood and jaundice occurs. Reasons for jaundice: Jaundice occurs when blood levels of bilirubin increase in blood. Generally, liver disease is the main cause of jaundice. Whatever we eat is processed in the

মুখের দুর্গন্ধ দ্রুত দূর করার উপায়

Image
মুখের দুর্গন্ধের মতো বিব্রতকর জিনিস আর হয় না!একটি সুন্দর চেহারা, আর মুখে দুর্গন্ধ- ভাবুন তো বিষয়টি কেমন! দাঁতের প্লাক, দাঁতের ক্ষয়, শরীরে পানির অভাব, পেঁয়াজ খাওয়া-ইত্যাদি মুখে গন্ধ তৈরির জন্য দায়ী। তবে কিছু বিষয় পালন করলে দুর্গন্ধকে দূর করা যায় সহজে। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই বাতলে দিয়েছে মুখে দুর্গন্ধ দ্রুত দূর করার কিছু উপায়ের কথা। দিনে দুই বেলা ব্রাশ করুন দিনে দুই বেলা ব্রাশ করা দাঁতের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও দুই বেলা দাঁত ব্রাশ করা জরুরি। যদি এরপরও মুখে দুর্গন্ধ হয়, তাহলে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে পারেন। এটি মুখ থেকে এসিডিটি দূর করবে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমিয়ে দেবে।   প্রচুর পানি পান করুন পানি শূন্যতায় ভুগলেও মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতিদিন অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনাকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে এবং মুখের বাজে গন্ধ দূর করবে।  জিহ্বা ব্রাশ করুন ব্রাশ করার মানে এই নয় যে কেবল দাঁতই ব্রাশ করবেন। জিহ্বাও ব্রাশ করা জরুরি। জিহ্বার জন্যও মনোযোগ প্রয়োজন। ব্যাকটেরিয়া জিহ্বাতেও বৃদ্ধি পায়। এতে মুখে দুর্গন্ধ

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ৫ জিনিসকে ‘না’ বলুন

Image
আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো শরীরে ক্ষতি করতে পারে। যেমন : প্লাস্টিক বোতল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান। আবার কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো বেশি পুরোনো হলে ফেলে দেওয়া প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। ১.  প্লাস্টিক ফুড কনটেইনার ও বোতল প্লাস্টিকের ফুড কনটেইনার ও বোতল ব্যবহারে সতর্ক হোন। অধিকাংশ সময় এগুলোর মধ্যে থাকে বিসফেনল এ (বিপিএ), বিসফানল এস (বিপিএস), পেথালেটস নামক রাসায়নিক উপাদান। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিপিএ হৃদরোগ ও  ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাপের মধ্যে থাকলে বা বারবার ধুলে এসব দ্রব্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় প্লাস্টিক ফুড কনটেইনার ও প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা এড়িয়ে চললে।  ২.  অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ও ডিটারজেন্ট আপনি কি সব সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়ারোধী সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেন? যদি তাই হয়, তাহলে আরেকটু ভাবুন। অনেকে ভাবেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মানেই জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষাকারী সাবান। এমনকি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশনও

জন্ডিস : লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন

Image
জন্ডিস (Jaundice) আসলে কোন রোগ নয়, এটি একটি রোগের লক্ষণ মাত্র। Jaundice শব্দটি ফরাসি শব্দ Jaunisse থেকে এসেছে যার অর্থ হলুদাভ। জন্ডিস হলে রক্তে বিলরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় (রক্তে বিলিরুবিনের ঘনত্ব 1.2 mg/dL বা 25 µmol/L এর নিচে থাকে। 3 mg/dL বা 50 µmol/L এর বেশি হলে জন্ডিস হয়েছে ধরা হয়) এবং ত্বক, চোখের সাদা অংশ এবং অন্যন্য মিউকাস ঝিল্লি হলুদ হয়ে যায়। আমাদের রক্তের লোহিত কণিকাগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই একটা সময় ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তী সময়ে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্তনালীর সাহায্যে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে। অন্ত্র থেকে বিলিরুবিন পায়খানার সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। বিলিরুবিনের এই দীর্ঘ পথ পরিক্রমা স্বাভাবিকভাবে না হয়ে যে কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং জন্ডিস দেখা দেয়। জন্ডিসের কারণ: রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দেয়। সাধারণত লিভারের রোগই জন্ডিসের প্রধান কারণ। আমরা যা কিছু খাই তা লিভারেই প্রক্রিয়াজাত হয়। লিভার বিভিন্ন কারণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি এবং ই ভাইরাসগুলো

চুল পড়ার কারণ এবং তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

Image
চূল পড়ার অনেক কারন আছে। যদি কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত হন তাদের জেনে নিতে হবে এর আসল কারন কি ? তবে কারন সম্পর্কে জানা থাকলে এর সু-চিকিৎসা যেমন পাওয়া যাবে তেমনি প্রতারণা হতে বাঁচা যাবে। আজকাল অনেক বাহারি তেল আবিস্কার হয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আরও সমস্যা বাড়বে বৈ উপকার কিছুই হবেনা। দয়াকরে আপনারা ঐ ভুয়া টোটকা চিকিৎসা থেকে বিরত থাকুন। প্রথমে আসা যাক চুল পড়ার কারন কি কি ? ( ক) প্রথমত যারা প্রচুর গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় ভুগেন। অল্প কিছু খেলেই যাদের গ্যাস হয়। ( খ) বংশগত কারনেও হয়। ( গ) চর্ম রোগ , যেমন একজিমা , সোরায়সিস , ইত্যাদি কঠিন চর্ম রোগে ভুগলে। ( ঘ) পুষ্টির অভাব থেকেও হয়। ( ঙ) হরমোন সমস্যার কারনেও হয়। ( চ) উচ্চশক্তিসম্পন্ন বা তেজস্ক্রিয় রশ্মি প্রয়োগ করে রোগের চিকিৎসা অথবা কেমোথেরাপি - ক্যান্সারের মত নির্দিষ্ট কিছু রোগে গুরুতর চুলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। ( ছ) রজঃনিবৃতি কাল - রজঃনিবৃতি কালে মহিলাদের চুল পড়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। ( জ) আগুনে পুড়ে গেলে সেই স্থানে চুল না গজানো স্বাভাবিক ব্যাপার। ( ঝ) তাছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ গ্রহণ , উচ্চ জ্বর , রক্তক্ষরণ ,