Posts

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস ও আবিষ্কার (পর্ব-২)

Image
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান মোঃ দোয়েল হসেনঃ কিন্তু এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রথার সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে এর কিছু বিষময় ফলও অনতিবিলম্বে দেখা দিতে শুরু করে। আজ যে ঔষধ অমোঘ বলে ঘোষিত হল দুইদিন পর সেটাই মানুষের অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে পরিত্যক্ত হল। তাছাড়াও যে রোগের জন্য ঔষধ প্রয়োগ করা হল তা হয়ত সরাল, কিন্তু অন্য নানা রকম জটিল উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করল। যন্ত্রণাকাতর যে রোগী চিকিৎসককে বিশ্বাস করে নিজেকে তার হাতে সমর্পণ করেছে, সেই চিকিৎসকই সুযোগ গ্রহণ করে তার উপর বিভিন্ন ঔষধ ও তত্ত্বের  নিত্য নতুন পরীক্ষা শুরু করে দিলেন। রুগ্ন মানুষ ঔষধ ও তত্ত্ব পরীক্ষার গিনিপিগের মত ব্যবহার হতে লাগল। ফলে অনেক বিবেকবান লব্ধ প্রতিষ্ঠ খ্যাতিমান চিকিৎসক এলোপ্যাথিক চিকিৎসার প্রতি শ্রদ্ধা হারালেন। বিজ্ঞানাচার্য দার্শনিক ও চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ স্যামুয়েল হ্যানিমান ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি প্রচলিত এই চিকিৎসা প্রথার ভয়াবহ পরিণামের কথা উপলব্ধি করে সখেদে ঘোষণা করলেন, "আমি এমন সব ঔষধ প্রয়োগ করছি যেগুলি সম্বন্ধে আমি খুবই কম জানি, এমন দেহে প্রয়োগ করছি যার অন্তর্নিহিত ক্রিয়াধারা সম্বন্ধে বলতে গেলেচিকিৎসার নামে তার বৃহত্ত

জীবন কে সুন্দর করতে কিছু টিপস।

Image
১. হাজার ব্যস্ততার মাঝে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় বের করে  অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন৷ ২. নির্জন কোন স্থানে একাকী অন্তত ১০  মিনিট কাটান ও নিজেকে নিয়ে ভাবুন৷ ৩. ঘুম থেকে উঠেই প্রকৃতির নির্মল  পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন। সারা দিনের করণীয় গুলো সম্পর্কে মনস্থির করুন। ৪. নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক উপাদানে ঘরে তৈরি খাবার বেশি খাবেন আর প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাবেন। ৫. সবুজ চা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ৬. প্রতিদিন অন্তত ২/৩ জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করুন। ৭. গান, গল্প, অতীতের স্মৃতি, বাজে চিন্তা করে আপনার মূল্যবান সময় এবং শক্তি অপচয় করবেন না। ভাল কাজে সময় ও শক্তি ব্যয় করুন। ৮. সকালের নাস্তা রাজার মত, দুপুরের খাবার প্রজার মত এবং রাতের খাবার খাবেন ভিক্ষুকের মত। ৯. জীবন সব সময় সমান যায় না, তবুও ভাল কিছুর আশা-অপেক্ষা করতে শিখুন। ১০. অন্যকে ঘৃনা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবন খুব ছোট, সকলকে ক্ষমা করে দিন সব কিছুর জন্য। ১১. কঠিন করে কোন বিষয় ভাববেন না। সকল বিষয়ের সহজ সমাধান চিন্তা করুন। ১২. সব তর্কে জিততে হবে এমন নয়, তবে মতামত হিসাবে মেনে নিতে পারেন আবার নাও মেনে নিতে পারেন। হ্যা

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. হ্যানিম্যান ও তার ইসলাম গ্রহণ।

Image
[ সংগৃহীত ] আমি বৃথা জীবন ধারণ করিনি, সমস্ত কিছুই প্রমাণ করব, যা ভাল তা শক্ত করে ধরব’। বিশিষ্ট গবেষক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করে ডাক্তার হন এবং অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী রোগীদের সেবা প্রদান করতেন। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি তিনি গবেষণা ও চিকিৎসা বিষয়ক বইয়ের অনুবাদ করেছেন। গবেষণার এক পর্যায়ে তিনি অ্যালোপ্যাথিতে ক্ষতিকর সাইড অ্যাফেক্ট (পার্শপ্রতিক্রিয়া) দেখতে পান। এতে তিনি অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি পরিত্যাগ করেন। সাইড অ্যাফেক্টের কারণ নির্ণয়ের গবেষণার মাধ্যমে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সূত্র আবিষ্কৃত হয়। পেরুভিয়ান কপি বা সিঙ্কোনা গাছের বাকল নিয়ে গবেষণা করতে করতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উদ্ভব হয়। সুস্থ মানবদেহে ওষুধ প্রয়োগ করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ওষুধের গুণাবলী পরীক্ষা করতেন। এ ধরনের গুণাবলী যখন কোন অসুস্থ ব্যক্তির মধ্যে দেখা যেত তখন তিনি তা প্রয়োগ করলে রোগটি সেরে যেত। এটাকে বলে সদৃশ বিধান বা হোমিওপ্যাথি। এভাবেই প্রাকৃতিক নিয়মে ওষুধ পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োগ করার চিকিৎসা

হোমিও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস ও আবিষ্কার (পর্ব-১)

Image
স্যামুয়েল হ্যানিম্যান মোঃ দোয়েল হোসেনঃ আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাস মানব জন্মের ইতিহাসের মতই সুপ্রাচীন। আয়ুর্বেদ, এলোপ্যাথি প্রভৃতি চিকিৎসা পদ্ধতির বয়স তিন হাজার বৎসরেরও অধিক এবং সেগুলি চিকিৎসা ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত। হোমিওপ্যাথির প্রবর্তন হয় অপেক্ষাকৃত সাম্প্রতিক কালে, ১৭৯৬ খৃষ্টাব্দে। আরোগ্য বিজ্ঞানের ইতিহাসে সদৃশনীতির বিধান অতি প্রাচীন। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসাশাস্ত্রে সাদৃশমতে চিকিৎসা ও বিপরীত মতে চিকিৎসা এই উভয় প্রকার চিকিৎসার সুস্পষ্ট বিধান ছিল। খৃষ্টপূর্ব ৩৫০ অব্দে এরিস্টটল ঘোষণা করেছিলেন যে, রোগের সাদৃশ্য ও ঔষধের সাদৃশ্যেরর পরস্পর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফল হল পরস্পর বিনাশ, অর্থাৎ ঔষধের স্বভাবিক গুনাবলীর বিনাশ এবং রোগের নিরাময়। এলোপ্যাথিক চিকিৎসার আদিগুরু হিপোক্রেটিস সাদৃশমতে চিকিৎসার নীতি সমর্থন করে গেছেন। তার মতে যে ঔষধ যে রোগ উৎপন্ন করতে পারে সেই রোগ আরোগ্যও করতে পারে। ইংরেজ চিকিৎসা শাস্ত্রবিদ সিডেনহামের উপদেশ হল প্রকৃতিকে অনুসরণ করে প্রকৃতি নির্দিষ্ট পথে রোগ নিরাময় কর, নতুবা রোগ শক্তিকে সরাসরি কোন ঔষধ প্রয়োগে নির্মূল কর। কিন্তু এই নীতির উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা ন

ফর্সা, উজ্জ্বল ত্বক পেতে যে খাবারগুলো খাবেন আপনি।

Image
ত্বক ফর্সা কিংবা উজ্জ্বল দেখানোর জন্য কত জনই না কত কিছু করে। কেউ দামী প্রসাধনী লাগান আবার কেউ নিয়মিত পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রকৃতিতেই আছে কিছু সমাধান। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক কিছু খাবার খেয়েই বাড়ানো সম্ভব ত্বকের(Skin) উজ্জ্বলতা। সেই সঙ্গে ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও পরিবেশ দূষন থেকেও রক্ষা করা সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এমন ৫টি প্রাকৃতিক খাবার সম্পর্কে। মিষ্টি আলুঃ  মিষ্টি আলুতে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। ভিটামিন(Vitamins) এ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত মিষ্টি আলু খেলে ত্বকের লালচে ভাব কমে এবং উজ্জ্বল হলুদ আভা বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল ও সতেজ। টুনা ও স্যামনঃ  সামুদ্রিক তেল যুক্ত টুনা ও স্যামন মাছে আছে বায়োটিন যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এগুলোতে আছে ভিটামিন বি যা ফ্যাটি এসিড তৈরি করে এবং এমিনো এসিড মেটাবোলাইজ করে। এই মাছ গুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখায় সেই সঙ্গে কমে যায় ব্রণের উপদ্রব। বাদামঃ  বাদামে আছে প্রচুর ভিটামিন ই, ফাইবার ও প্রোটিন। এই তিনটি

যৌন সমস্যা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

Image
ডাঃ মোঃ সোহেল রানাঃ  হোমিও ডাক্তারদের কাছে যৌন দুবর্লতার যত রোগী যান, তাদের প্রত্যেকেই বলেন যে, এলোপ্যাথিক বা কবিরাজি চিকিৎসায় তারা কোন সত্যিকারের উপকার পান নাই। (যতদিন ঔষধ খাই ততদিনই ভাল থাকি, ঔষধ বন্ধ করলেই অবস্থা আগের মতো।) অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুরবলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চমৎকার চিকিৎসা আছে। পরিণত বয়সের নারী-পুরুষ অনেকের কাছে যে সমস্যা সময় প্রকট হয়ে দেখা দেয় তা হলো যৌন দুর্বলতা, যার কারণে অনেক সময়ই দম্পতি মানসিক অশান্তিতে ভোগেন। অবিবাহিত এমনকি যৌন ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি এমন অনেকেই কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। আসলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষেরই এ বিষয়ে সংকোচ বেশি থাকায় এবং লোকলজ্জার করণে প্রকৃত তথ্য থেকে অনেকে বঞ্চিত হন, তেমনি প্রচলিত কুসংস্কারের কারণে সমাজে বাসাবাঁধে এ সমস্যা। যৌন দুর্বলতায় নারী বা পুরুষ উভয়েই আক্রান্ত হতে পারেন, তবে যৌন কাজে নারীর ভূমিকা অনেকখানি পরোক্ষ বিধায় পুরুষকেই এই সমস্যা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন হতে দেখা দেয়। একজন পুরুষের যৌন বিষয়ক শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো কি কি। ১। যৌন ইচ্ছা বা সেক্

ছন্দে ছন্দে পর্যায় সারণীর বিভিন্ন মৌলের নাম

Image
দেখে নেই কিভাবে ছন্দ করে পড়ে নির্ভূলভাবে পর্যায় সারণী মনে রাখা যায়ঃ The Periodic Table Group: 1A- H,  Li,  Na,  K,  Rb,  Cs,  Fr হে লি না কে রুবি সাজাবে ফ্রান্সে Group: 2A- Be,  Mg,  Ca,  Sr,  Ba,  Ra বিধবা মায়ের ক্যাডার সন্তান বাদশাহ রহিম অথবা- বিরিয়ানি মোগলাই কাবাব সরিয়ে বাটিতে রাখ অথবা- বিধবা মহিলা কা সার বাসনে রাধে Group: 3A-  B,  Al,  Ga,  In,  Ti বরুন অল্পতেই গেল ইন্ডিয়া তে অথবা- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গেল ইন্ডিয়া ট্যুরে Group: 4A- C,  Si,  Ge,  Sn,  Pb কলিকাতা সিটিতে গেলে সোনা পাবে অথবা- কাদঁলে শার্ট গেন্জি স্যান্ডেল পাবে Group: 5A- N,  P,  As,  Sb(অ্যান্টিমনি),  Bi নাই প্রিয়া আজ সবই বিরহের অথবা- না ফিজ আছে আন্টির বাসায় অথবা- নাই পারুল আছে সাবিনা বিয়ান Group: 6A- O,  S,  Se,  Te,  Po অফিস শেষে সেলিনা টেলিফোন পেল অথবা- ও এস এস-ই তে পড়ে Group: 7A – (হ্যালোজেনX) – F,  Cl,  Br,  I,  At ফখরুলের ক্লোনটি বড়ই ইডি য়েট Group: 0 (নিষ্ক্রিয় ধাতু) – He,  Ne,  Ar,  Kr,  Xe(জেনন),  Rn হে না আর করিম যাবে রমনায় ধাতুর সক্রিয়তা সিরি