স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ৫ জিনিসকে ‘না’ বলুন

আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো শরীরে ক্ষতি করতে পারে। যেমন : প্লাস্টিক বোতল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান। আবার কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো বেশি পুরোনো হলে ফেলে দেওয়া প্রয়োজন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. প্লাস্টিক ফুড কনটেইনার ও বোতল
প্লাস্টিকের ফুড কনটেইনার ও বোতল ব্যবহারে সতর্ক হোন। অধিকাংশ সময় এগুলোর মধ্যে থাকে বিসফেনল এ (বিপিএ), বিসফানল এস (বিপিএস), পেথালেটস নামক রাসায়নিক উপাদান। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিপিএ হৃদরোগ ও  ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
তাপের মধ্যে থাকলে বা বারবার ধুলে এসব দ্রব্য আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় প্লাস্টিক ফুড কনটেইনার ও প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার করা এড়িয়ে চললে। 
২. অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ও ডিটারজেন্ট
আপনি কি সব সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বা ব্যাকটেরিয়ারোধী সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করেন? যদি তাই হয়, তাহলে আরেকটু ভাবুন। অনেকে ভাবেন, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মানেই জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষাকারী সাবান। এমনকি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিসট্রেশনও মত দিয়েছে মানুষের উচিত হাত ধোয়ার জন্য সাধারণ সাবান ব্যবহার করা।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবানে ও ডিটারজেন্টে রয়েছে ক্ষতিকর উপাদান ট্রাইক্লোসেন। ২০০৯ সালের টক্সিকোলোজিক্যাল সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়,  ট্রাইক্লোসান থাইরয়েড হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। গর্ভবতী নারীদের ভ্রূণের বৃদ্ধি, অ্যালার্জি, ওজন বাড়া ইত্যাদি সমস্যা তৈরি হতে পারে এ থেকে।
৩. এয়ার ফ্রেশনার 
এয়ার ফ্রেশনারের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান। সাধারণত এতে পেথালেটস (phthalates) ব্যবহার করা হয়। এটি স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহারের সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে ভালো হয় ঘরের দুর্গন্ধ তৈরিকারী কারণগুলো খুঁজে বের করতে পারলে এবং সেগুলো দূর করলে।
৪. পুরোনো ননস্টিক ফ্রাইপেন
ননস্টিক ফ্রাইপেন বা কড়াই নিশ্চয় আপনার খুব পছন্দের একটি রান্নার তৈজসপত্র। তবে পুরোনো হলে এটি কিন্তু বিপজ্জনক। পুরোনো হতে থাকলে ধীরে ধীরে এর ওপরের অংশটি নষ্ট হয়ে যায়। আর এমন ফ্রাইপেনে রান্না করা মোটেই ঠিক নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এটি প্রাণিদেহে টিউমার ঘটাতে পারে। মানবশরীরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এ থেকে। এর বদলে লোহার তৈজসপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. ময়লা কনটাক্ট লেন্স রাখার পাত্র
অনেকেই এখন চশমার বদলে কনটাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। যদি এর ভালোভাবে যত্ন নেওয়া না হয় তবে এটি চোখের ক্ষতি করতে পারে। এমনকি দৃষ্টিহানিও ঘটাতে পারে।
লেন্স যেই পাত্রে বা কেসে রাখা হয় তাই সেটি পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। ময়লা কেস থেকে চোখের সংক্রমণ হতে পারে। তিন মাস পরপর লেন্স রাখার পাত্রটি বদলানো প্রয়োজন বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।


ডাঃ মোঃ সোহেল রানা
 বি এস-সি,  এম এস-সি (রসায়ন)
 ডি এইচ এম এস (ঢাকা)
মোবাইল নং ০১৭৮৬-৩৯০৬৯০

Comments

Popular posts from this blog

ছন্দে ছন্দে পর্যায় সারণীর বিভিন্ন মৌলের নাম

যৌন সমস্যা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

প্রসূতি মায়ের পরিচর্যা