এক নজরে ব্যবস্থাপত্র

পর্ব-০১
বলা হয়ে থাকে -"মুখ মনের আয়না" তবে শুধু মনের নয়- মুখ অনেক সময় ডাক্তার দের কাছে রোগীর রোগ চিত্র প্রকাশক হিসেবে কাজ করে। শোনা যায়, ভারতের প্রয়াত ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়  শুধু রোগীর মুখের দিকে তাকিয়ে ব্যবস্থাপত্র দিতেন- - - - - -

এটা গল্প নাকি বাস্তব তার পক্ষে কোন প্রমান আমার জানা নেই।
আমরা যারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তাঁদের সবার জানা আছে- রোগীর শুয়ে থাকার ধরণ, রোগীর মুখভঙ্গি, রোগীর দৈহিক গঠন ইত্যাদি ঔষধ নির্বাচনে কতটা সহায়ক। যেমন ধরুন-

  • রোগী কুকুর কুণ্ডলী হয়ে শুয়ে থাকেঃ ব্যাপ্টিশিয়া।
  • রোগী উপুড় হয়ে শুয়ে থাকেঃ সিনা, বেলাডোনা, কলোসিন্থ।
  • রোগীর মাথার নিচে দুইটা বালিশ দিয়ে শুয়ে থাকেঃ আর্সেনিক এল্ব, কেলি নাইট।
  • রোগী হাঁটু ও হাতের ভরে সেজদার ভঙ্গিতে শুয়ে থাকেঃ মেডোরিনাম।
  • রোগী বাম কাতে চেপে শুতে পারে নাঃ ফসফরাস, সালফার।
  • রোগী ডান কাতে চেপে শুতে পারে নাঃ মার্কুরিয়াস সল, স্ত্যানাম।
  • রোগী পায়ে পা পেঁচিয়ে শুয়ে থাকেঃ বেলাডোনা, রডোড্রেনড্রন।
ঠিক সেই রকম রোগীর দৈহিক গঠনও ঔষধ নির্বাচনে সহায়ক। যেমনঃ
  • রোগী খুব ল্মবাঃ ক্যাল্কেরিয়া ফস, ম্যাগ্নেশিয়া ফস, ফসফরাস।
  • রোগী খুব মোটা, থলথলেঃ ক্যাল্কেরিয়া কার্ব, ক্যাপ্সিকাম, গ্রাফাইটিস, এন্টিম ক্রুড।
  • রোগী জীর্ণ-শীর্ণঃ সিকেলি কর, এব্রোটেনাম, আয়োডিয়াম, টিউবারকুলিনাম, স্যানিকুলা।
  • রোগী বেঁটে-খাটোঃ ব্যারাইটা কার্ব, সিফিলিনাম।
  • রোগী দুর্বল-কৃশঃ আর্জেন্ট নাইট, নাইট্রিক এসিড, প্লাম্বাম মেট, সাইলিশিয়া।
  • রোগী শক্তিশালী, বলবানঃ একোনাইট, বেলাডোনা, ক্যাপ্সিকাম।
একজন রোগী/ রোগিণী যখন চিকিৎসা নিতে আসেন তখন তার অভ্যাস বা আচরণও অনেক সময় চিকিৎসক কে ঔষধ নির্বাচনে সহায়তা করে থাকে। যেমনঃ
  • দাঁড়িয়ে, বসে অথবা গাড়ীতে চড়ে, সকল স্থানে পা নাচায়ঃ জিঙ্কাম মেটালিকাম।
  • দুই হাতের ও পায়ের আঙ্গুল


Comments

Popular posts from this blog

ছন্দে ছন্দে পর্যায় সারণীর বিভিন্ন মৌলের নাম

জন্মের পরে মাতৃদুগ্ধ পানে উপকারিতা

যৌন সমস্যা ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।